ভাবনা-৪৭
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। একটি নব্য-স্বাধীন দেশের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সম্পর্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, একটি মুসলিম দেশ হিসাবে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নের বিকল্প ছিলো না। সঙ্গতকারণে, ১৯৭৪ সালে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি সম্মেলনে তাজুদ্দীন আহমদ ও ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্বেও যোগদান করেন। তাজুদ্দীন আহমদ ও ভারতের মত ছিলো: বাংলাদেশ যেহেতু ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক আদর্শে গঠিত একটি রাষ্ট্র তাই তা ক্ষুণ্ন করে লাহোরে যাওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান তাতে কর্ণপাত না করে বাস্তবতার খাতিরে লাহোরের মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সম্মেলনে যোগদান করেন। বস্তুত, তাঁর সে সিদ্ধান্ত ছিলো অত্যন্ত দূরদর্শী ও সময়োপযোগী। উল্লেখ্য, ১৯৭২-এ প্রথম দেশে ফিরে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রথম জনসমাবেশে দেয়া ভাষণে ঘোষণা করেন: ‘আমি মুসলমান; আমার বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র’ (আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, পৃ: ৬০৫)। তাঁর এ ঘোষণা বাংলাদেশকে একটি অনিবার্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে। শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মরহুম আবুল মনসুর আহমদ তাঁর লেখা “আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর” গ্রন্থে সে-কথা উল্লেখ করে গেছেন। কিন্তু প্রশাসনের ভেতর লুকিয়ে থাকা উগ্রসেক্যুলার অপশক্তি ও বামধারার লোকজনের প্রভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে দেশে ইসলামী রাজনীতি ও আলিম-সমাজের তৎপরতার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মরহুম আবুল মনসুর আহমদ তাঁর গ্রন্থের ‘মুজিবহীন বাংলাদেশ’ অধ্যায়ে আরও লিখেন:
“মুজিবের অনুপস্থিতিতে যে সব অশুভ ঘটনা ঘটিতে পারে বলিয়া আমার আন্দায ছিল, আসলে তার চেয়ে অনেক বেশী অশুভ ঘটনা ঘটিতে লাগিল। এ সব ঘটিতে লাগিল চিন্তায় ও কাজে উভয়তঃই। এটা শুরু হইল প্রবাসী সরকার দেশে ফিরিবার আগে হইতেই। প্রথম ঘটনাটা ঘটিল স্বাধীনতার প্রায় শুরুতেই-১৮ই ডিসেম্বরে। ঐ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা উদযাপনের জন্য দিল্লীর রামলীলা ময়দানে এক বিরাট জনসভা হইল। সে সভায় ভারতের দেশরক্ষা মন্ত্রী জগজীবনরাম বক্তৃতায় বলিলেন: ‘এতদিন পাকিস্তানের গর্বের বিষয় ছিল, সে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। গত পরশু হইতে সে গৌরব বর্তাইয়াছে বাংলাদেশের উপর। বাংলাদেশই এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। ’ আকাশবাণীর খবর অনুসারে মি: রামের এই উক্তি সেই বিরাট জনসভায় বিপুলভাবে অভিনন্দিত হইয়াছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সদ্য-দীক্ষিত একজন অফিসার মি: রামের ঐ উক্তির তীব্র প্রতিবাদ করিয়া বলিলেন: ‘মি: রামের স্মরণ রাখা উচিৎ ছিল বাংলাদেশ একটি সেকিউলার রাষ্ট্র, মুসলিম রাষ্ট্র নয়।’ আমি বুঝিলাম, এটা যদি বাংলাদেশ সরকারের সরকারী অভিমত হয়, তবে বিপদের কথা।”
মরহুম আহমদ আরও লিখেন:
“প্রবাসী সরকার ঢাকায় ফিরার সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণিত হইল যে, এটা সরকারী অভিমত। দেশে ফিরিয়াই তারা যা দেখাইলেন, তাতে রেডিও-টেলিভিশনে কোরান-তেলাওয়াত , ‘খোদা হাফেয’, ‘সালামালেকুম’ বন্ধ হইয়া গেল। তার বদলে ‘সুপ্রভাত’, ‘শুভ সন্ধ্যা’, ‘শুভরাত্রি’ ইত্যাদি সম্বোধন প্রথা চালু হইল।”
শুধু মরহুম আহমদই নন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক এ, এল খতিব তাঁর লেখা ‘কারা মুজিবের হত্যাকারী?’ (Who killed Mujib) গ্রন্থে’র ৩৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেন:
“দেশ স্বাধীন হবার পর অনেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিদিন প্রচলিত ‘ইনশাল্লাহ’ এবং ‘আসসালামু আলাইকুম’ শব্দ দু’টি শুনলেও রাগে ফেটে পড়তো” (১ম প্রকাশ: ১৯৯২, শিখা প্রকাশনী, ঢাকা)।
এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজ ক্ষুদ্ধ হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তোলে। তা না হলে, বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ বছরের শাসনতান্ত্রিক, সামাজিক ও উন্নয়নের ইতিহাস ভিন্ন হতো। পাঠক আশা করি বুঝতে পারছেন, স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে চিহ্নিত কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্রে কওমী আলিম-সমাজ কিভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু আলিম ব্যক্তিত্বকে কারারুদ্ধ করা হয় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দোহাই দিয়ে। এরপর ১৯৭৫ সালে পটপরিবর্তনের পর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তম বহুদলীয় রাজনীতির পথ খুলে দিলে কওমী আলিম-সমাজ স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ; দুর্ভিক্ষগ্রস্থ ও বিপর্যস্ত অর্থনীতি; দারিদ্র্যে বিবর্ণ সমাজ—সব মিলিয়ে অসহনীয় পরিবেশ। আলিম-সমাজ নিরুপায় হয়ে মাদরাসাগুলোকে গড়ে তোলার দিকে প্রাথমিক দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন। যদিও কওমী মাদরাসা দেশীয় মুসলমানের সাহায্য-সহযোগিতায় চলে কিন্তু নব্য একটি দেশে বিপর্যস্ত অর্থনীতির কারণে দেশীয় চাঁদা, দান ইত্যাদি সংগ্রহে সীমাবদ্ধতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই তাঁরা অনন্যোপায় হয়ে শুভাকাঙ্খীদের পরামর্শে দেশের বাইরে যেতে মনস্থ করলেন। সে মোতাবেক ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম (সংগৃহিত তথ্যানুসারে) বাংলাদেশের সুপরিচিত কওমী মাদরাসা চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার তৎকালীন পরিচালক সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ-ব্যক্তিত্ব শাহ মুহাম্মাদ ইউনুস সাহেব রহ. (যিনি আলিম-সমাজে হাজী সাহেব হুজুর নামে পরিচিত ছিলেন) আরব আমিরাত সফরে যান। এরপর চট্টগ্রামের জিরি মাদরাসার মুফতী নুরুল হক সাহেব রহ. সৌদি আরব ও দুবাই সফর করেন (১৯৭৮)। এরপর নিকটবর্তী কোন সময়ে (আনুমানিক ১৯৭৯-১৯৮০) দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মাওলানা কাসেম সাহেব ফতেহপুরী রহ. আরব আমিরাত সফর করেন। আনুমানিক ১৯৮০-১৯৮১ সালের মধ্যে চট্টগ্রামের অন্যতম প্রাচীন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ফটিকছড়ির জামিয়া আরবিয়া নছিরুল ইসলাম (নাজিরহাট বড় মাদরাসা)-এর পরিচালক আল্লামা হাফিয শামছুদ্দীন সাহেব রহ. সৌদি আরব সফর করেন। এখানে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হচ্ছে: কওমী আলিম-সমাজ যখন মধ্যপ্রাচ্যে যান তাঁরা সেখানকার ধনাঢ্যব্যক্তিবর্গ বা সংস্থা থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে পূর্ব থেকে সৃষ্ট নেতিবাচক ধারণানির্ভর প্রশ্নের সম্মুখীন হন। এখানকার কওমী-আলিমসমাজ সেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে সকল-প্রকার নেতিবাচক ধারণার বিপরীতে ইতিবাচক ধারণা প্রদান করেন এবং তাদেরকে এ কথাটি বোঝাতে সক্ষম হন যে, বাংলাদেশ মোটেও হিন্দু-প্রভাবিত রাষ্ট্র নয়। এখানে হাজার-হাজার মাদরাসা, মসজিদ, মক্তব আছে। এখানে সাহায্যের প্রয়োজন আছে। এখানকার নব্বই শতাংশ মুসলমান। আরব-ভাইদের প্রতি এদেশের মুসলমানের আন্তরিক ভালোবাসা আছে। এখানে ধনী মুসলিমরাষ্ট্রগুলোর সাহায্যের প্রয়োজন আছে; এখানে মানুষ কষ্টে দিনাতিপাত করছে; এখানে দরিদ্র-মানুষের আধিক্য আছে; এখানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে গভীর নলকূপ বসানোর প্রয়োজন আছে; এখানকার সরকারকে অর্থনৈতিক সাহায্য দেয়া উচিৎ ইত্যাদি। প্রসঙ্গত বলতে হয়, সে-সময়কার পরিস্থিতিতে আরব-সমাজে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেয়ার বিষয়টা ছিলো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। এমন কি এখানকার বাস্তবতা প্রমাণে কওমী আলিম-সমাজ আরব-সাহায্যদাতা ব্যক্তিবর্গকে বাংলাদেশ সফর করারও আমন্ত্রণ জানান। পরে দেখা যায়, কওমী-আলিমসমাজের প্রাণান্তকর চেষ্টায় আরব-সমাজের তৃণমূলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা বিদূরিত হয়। এভাবে সময়ের ব্যবধানে তৃণমূলের উক্ত পরিবর্তন আরব-সমাজের উচ্চস্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ফলে কওমী আলিম-ব্যক্তিত্ববৃন্দের সাথে আরব-সমাজের উর্দ্ধতনমহলের বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাতের কারণে আরব-প্রশাসনেও বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণার উদয় হয়। এরই ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে পবিত্র মক্কা ও মদীনার সম্মানিত ইমামগণ ও সৌদি আরবের জাতীয় স্পীকার চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী এবং ফটিকছড়ির জামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর পরিদর্শনে বাংলাদেশ সফর ('৯০-এর দশক) করেন যা সরকারের পক্ষেও আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ফলে, একদিকে যেমন দেশের দরিদ্র এলাকায় মানবিক সাহায্য আসতে শুরু করে পাশাপাশি কওমী আলিম-সমাজের এ ভিত্তিগত দা'ওয়াতের সুফল চলে যায় বাংলাদেশ সরকারের হাতে ('৭৬-৮১')। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংযোগ ও পাশাপাশি কওমী আলিম-সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের সংযোগ—এ দু'য়ের সংমিশ্রণে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়। বাংলাদেশে আসতে শুরু করে বৈদেশিক সাহায্যের একটি বিশাল অংশ যা এখানকার পরিকাঠামো নির্মাণে অসামান্য অবদান রাখে। এর সাথে শুরু হলো মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমশক্তি রফতানীর ধারা। বলতে দ্বিধা নেই, এখনও কওমী আলিমসমাজের যে অংশ মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষত বিভিন্ন মসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে আরব-সমাজে দেশ ও জাতি সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট। আমরা অনেকেই জানি না, তাঁদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অসংখ্য শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে ঢুকতে সক্ষম হয়েছেন। প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্মলগ্নে কওমী-সন্তানদের এ অসামান্য অবদান ইতিহাস একদিন সঠিকভাবেই বিচার করবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, ইতিহাসের এ অনস্বীকার্য বাস্তবতাকে এ জাতি মূল্যায়ন করতে কেবল ব্যর্থই থেকে যায়নি উপরন্তু জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সংগ্রামে অবিভক্ত জাতিসত্ত্বার স্বাদ ভোগ করতেও অক্ষম থেকে গেছে।
পরিতাপের বিষয়, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই, অনেক আলিম-উলামাও জানেন না, মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে কওমী আলিমদের কতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়ে গেছে। সাধারণ শিক্ষিতরা মনে করেন, এঁরা মসজিদ-মাদরাসা নিয়েই থাকেন; দান-সদকা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন—এঁদের জাতীয় অবদান-ই বা কি? সাধারণ মনে রাখে না: রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিমুক্ত এ আলিমশ্রেণী নিম্নমধ্যবিত্তের জীবন ধারণ করে রাষ্ট্রকে কিভাবে সাহায্য করেছে এবং করছে। তাঁরা যখন মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোতে যান, বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসায় দায়িত্ব পালন করার মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিনিধি হয়ে আরব বণিকশ্রেণীর কাছে বাংলাদেশের সমস্যার চিত্র ও বর্ণনা তুলে ধরেন নিঃস্বার্থভাবে। মাদরাসা-পড়ুয়া হিসাবে আরবী জানা থাকার কারণে কওমীদের পক্ষে আরবী-এলিটদের বোঝানো অনেক সহজ, যা অন্যদের পক্ষে কঠিন। অথচ তাঁরা কোন সরকারী সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া দেশের জন্য নীরবে অবদান রেখে যাচ্ছেন, তা কি অস্বীকার করা যায়? তাঁদের কারণে, দরিদ্রশ্রেণী নগদ ও অবকাঠামোগত সাহায্য পায়; এখানে মসজিদ-মাদারাসা গড়ে ওঠে; এতিমখানা গড়ে ওঠে; বাড়ি-বাড়ি নলকূপ বসে ইত্যাদি। কিন্তু রাষ্ট্র তাঁদের কোন মূল্যায়ন করা তো দূরের কথা, অবদানের স্বীকৃতি পর্যন্ত দেয় না। উপরন্তু তাঁদের ভাগ্যে জোটে প্রতিক্রিয়াশীল, স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু ইত্যকার তকমা। কিন্তু যারা কাগজে-কলমে দেশ বেচে দেয়, তারা হয় দেশপ্রেমিক। এ-টুকু ভাগশেষ নিয়ে দেশ কতোদিন চলবে, তা কেউ জানে না।
১৩.০৬.২০২৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন