বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ভাবার দর্শন

 

ভাবনা-১

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম। 
ভাবতে পারাটাই একটা ভীষণ রকমের যোগ্যতা মনে হয় আমার কাছে। ব্যক্তিবিশেষে অবশ্য ভাবার চিত্র আর চরিত্র একরকম হয় না। তাই আমি ভাবছি আমার মতো করে। আমার চার পাশে--যা পরিবেশ নামে পরিচিত, তার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারার মধ্যে একটি আনন্দ আর সফলতা আছে বৈ কি। ইসলামী আইন বিশারদগণ যাঁদের পারিভাষিক পরিচয়: ফকীহ, বলেন, আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে যারা অজ্ঞ তারা মূর্খ। তাই পরিবেশ সম্পর্কে দূরে থাকার ভয় তো আছেই। আবার অতি পরিবেশময় হয়ে যাওয়ার বিপদও কম নয়। যেমন, ভাসার জন্য নৌকার পানির প্রয়োজন অনস্বীকার্য তেমনি ভেতরে পানির প্রবেশও আত্মঘাতী। বলছিলাম, ভাবার কথা। হ্যা, ভাবতে গেলে ভাবের সাথে ভাব করতে হয়। সীমান্তে যেমন দ্রব্য পারাপারের জন্য ওপাশের কারও সাথে সখ্যতা গড়তে হয়, তেমন আর কি। দৃষ্টি, শ্রবণ, স্পর্শ আমাদের ভাবের প্রথম দ্বার। ওখান দিয়ে যে বার্তা এসে অন্তরকে আলিঙ্গন করে সেটা মগজের ছোঁয়ায় ভাবের জন্ম দেয়। মানুষ চিন্তার খোরাক পেয়ে চিন্তায় মগ্ন হয়। এখান থেকে পথ চলে যায় সড়ক-মহাসড়কের দিকে; তারপর সাগর-মহাসাগর পেরিয়ে অসীমের খোঁজে। কুরআন যখন বলে: তুমি কি মরুর উট দেখোনি? কেমন করে তার অসাধারণ দেহাকৃতি এলো, তা কি তুমি ভেবো দেখোনি? সুবিস্তৃত আকাশ কি তোমাকে ভাবায় না? উর্ধ্বশিরের প্রশস্ত পর্বতশৃঙ্গ কি তোমার অন্তরে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে না? তখন কেন তুমি সড়ক-মহাসড়ক ধরে, সাগর-মাহাসাগর পেরিয়ে অসীমের পথে ধাবিত হও না? কেন তোমার চিত্ত মগজের অলিগলিতে হেঁটে বেড়াতে চায় না?  যে ভাবে না, তার আশপাশের যা কিছু নিয়ে--সে প্রাণী হতে পারে, মগজসমৃদ্ধ মানুষ হতে পারে না।
০১.০২.২০২৩

কোন মন্তব্য নেই:

Featured Post

জামায়াতে ইসলামীর সাথে কওমীদের ঐক্য কি আদৌ সম্ভব ? ভাবনা-৫০ বাংলাদেশে ইসলাপন্থীদের ঐক্য নিয়ে আলোচনার হায়াত অনেক দীর্ঘ । এক সময় ঐক্যের শে...